রাতের আকাশে জিজ্ঞাসা চিহ্নের ন্যায় যে তারামণ্ডলটি সহজেই চোখে পরে সেটা হলো সপ্তর্ষিমণ্ডল। এটার আরেক নাম ‘চিত্র শিখন্ডী’ ; চিত্র শব্দের অর্থ উজ্জ্বল বা আকাশ এবং শিখন্ড শব্দের অর্থ ময়ুর পুচ্ছ, অর্থাৎ এটা হলো আকাশের ময়ুরপুচ্ছ। এই নক্ষত্র মন্ডলের এইরকম নাম হবার কারণ সপ্তর্ষিমন্ডলের সাতটি তারা ময়ুরের পুচ্ছের ন্যায় বক্রাকারে অবস্থিত।
সাতটি তারার নাম এইরুপ –
‘মরীচিরঙ্গিরা অত্রিঃ পুলস্ত্য পুলহঃ ক্রতুঃ।
বসিষ্ঠশ্চেতি সপ্তৈতে জ্ঞেয়াশ্চিত্রশিখন্ডিনঃ।। ‘
সাতজন ঋষি যে ক্রমে অবস্থিত তা হল –
‘পূর্ব্বভাগে ভগবান্ মরীচিরপরেন্থিতো বসিষ্ঠোহস্ম্যাৎ।
তস্যহঙ্গিরাস্ততোহত্রিস্তস্যাসন্নঃ পুলস্ত্যশ্চ।।
পুলহঃ ক্রতুরিতি ভগবানাসন্নানুক্রমেণ পূবাদ্যাঃ।
তত্র বসিষ্ঠং মুনিবরমুপাশ্রিতারুন্ধতী সাধ্বী।। ‘
অর্থাৎ পূর্বদিকে ভগবান মরীচি অবস্থিত, তাঁর পশ্চিমে বসিষ্ঠ, তাঁর পশ্চিমে অঙ্গিরা, তাঁর পরে অত্রি, অত্রির কাছে পুলস্ত্য। তাঁর পরে পুলহ ও ক্রতু, এঁনাদের মধ্যে সাধ্বী অরুন্ধতী মুনিবর বসিষ্ঠের সেবা করছেন।
রাতের আকাশ চেনার জন্য সবথেকে যে জিনিসটা জরুরি সেটা হলো চোখ, সাথে মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ, আকাশ চেনার সবচেয়ে ভালো উপায় ছাদে উঠে গিয়ে জাস্ট চোখদুটো রাতের আকাশের দিকে তুলে ধরুন আর কাল্পনিক রেখা দিয়ে তারাগুলোকে মেলাতে থাকুন।
ছবিতে সপ্তর্ষিমণ্ডলের তারা গুলোকে রেখা দিয়ে যোগ করে দেখানো আছে, আর বশিষ্ঠ এবং অরুন্ধতীর একটা জুম ইন ছবি
গোল মার্ক করা অংশে বশিষ্ঠ নক্ষত্র, ইনসেটে বশিষ্ঠ সাথে অরুন্ধতী
অস্ত যাবার পথে সপ্তর্ষিমণ্ডল
খালি চোখে দেখতে পাওয়া সপ্তর্ষিমণ্ডল
লিখেছেন – শোভন মাইতি
Disclaimer:
- The views expressed in the articles which are published in this website (www.doverthinker.com) asserts that the opinions expressed in an article or any written material are those of the author and not the opinion of the website (www.doverthinker.com).
- The www.doverthinker.com assumes no responsibility or liability for any error(s) or omission(s) in the content(s) and/or the article(s). The information contained in www.doverthinker.com is provided on an “as is” basis as provided by the author(s).
- All the information published in www.doverthinker.com is in good faith and for general information purpose only.
- No warranties from our site will be given for the completeness, reliability and accuracy of the information in the published article'(s).
