You are currently viewing জলবায়ু পরিবর্তনে খাদ্য সুরক্ষা সংকটে

জলবায়ু পরিবর্তনে খাদ্য সুরক্ষা সংকটে

Share this post

মুখপাত

‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২’-এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আবিশ্ব ক্ষুধা নিবৃত্তি, খাদ্য সুরক্ষা এবং পুষ্টিবৃদ্ধি। ১৯৯৬ সালে রোম-এ অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব খাদ্য সম্মেলন’-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘‘খাদ্য সুরক্ষা তখনই বজায় থাকে, যখন সমস্ত মানুষের কর্মক্ষম ও সুস্থ জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় ও পছন্দের পর্যাপ্ত, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য পাওয়ার সর্বদা শারীরিক, সামাজিক ও আর্থিক সঙ্গতি থাকে।’’

আবিশ্ব খাদ্যসংকট

জাতিপুঞ্জ জানিয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষের খাদ্য সুরক্ষা ছিল না। ২০২০ সালে কোভিড লকডাউনে এই সংখ্যাটি আরও বেড়েছিল। জাতিপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের সাম্প্রতিক চেতাবনি জানাচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের ফলে এই শতাব্দের মাঝামাঝি খাদ্য-সুরক্ষাহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮৮ কোটিতে ঠেকবে। ‘গ্লোবাল ফুড পলিসি রিপোর্ট ২০২২’ অনুযায়ী পৃথিবীতে জলবায়ু সংকটের কারণে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি মানুষের ভুখা থাকার বিপদ রয়েছে।

খাদ্যসংকট, ক্ষুধা ও ভারত

‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এর ষষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত উচ্চ প্রভাবের মধ্যে থাকায় ভারতের খাদ্য সুরক্ষা বিঘ্নিত হবে। মানবস্বাস্থ্য, আর্থিক ও সামগ্রিক বিকাশের উপর এর প্রভাব পড়বে। ফলত, দারিদ্র দূর করা কঠিন হবে। প্রসঙ্গত বলার, ভারতের তুলনামূলক উচ্চ আর্থিক বিকাশও ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূর করতে পারেনি। ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২২’-এ ১২১টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০৭ (সূচকমান ২৯.১)। দক্ষিণ এশিয়া-য় কেবল শ্রীলংকা, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভারতের পিছনে আছে। ভারতে ঝাড়খণ্ডের ক্ষুধা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ‘জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা ৫’ (২০১৯-২১) জানিয়েছে, দেশের পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩২.১% শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। বিহার (৪১%), গুজরাট (৩৯.৭%), ঝাড়খণ্ড (৩৯.৪%), মহারাষ্ট্র (৩৬.১%) এবং দাদরা নগর হাভেলি ও দমন এবং দিউ-তে (৩৮.৭%) এই হারটি বেশি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের কৃষির সবচেয়ে বড় সমস্যা এর কম ফলনশীলতা। বিশ্বব্যাংক-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে হেক্টর প্রতি ভারতের খাদ্যশস্যের ফলন ছিল ৩৪৭৯ কিলোগ্রাম, যা অন্যান্য উন্নত অঞ্চল, যেমন- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র (৮২৬৮ কিলোগ্রাম), পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় (৫২৬৪ কিলোগ্রাম) এবং ইউরোপীয় অঞ্চলের (৫৯২৩ কিলোগ্রাম) থেকে যথেষ্টই কম। এমনকী প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা (৪৫৫৭ কিলোগ্রাম) এবং বাংলাদেশও (৪৯৬৫ কিলোগ্রাম) ভারতের থেকে এগিয়ে ছিল।

‘গ্লোবাল ফুড পলিসি রিপোর্ট ২০২২’ জানাচ্ছে, ভারতে ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ ভুখা মানুষ দেখা যাবে। ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর খাদ্যফলন বর্তমানের তুলনায় ষাট শতাংশ বাড়লেও ভারতে প্রায় ৫০ কোটি মানুষের ভুখা থাকার বিপদ রয়েছে। এই ৫০ কোটি মানুষের মধ্যে সাত কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষুধায় কষ্ট পাবে। উপরন্তু, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে মাটিক্ষয়ের ফলে খাদ্যশস্য ফলন প্রায় ১০% কমে যাবে।

প্রসঙ্গত, জলবায়ু-বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জলবায়ু ব্যবস্থার ডন এল নিনো (নিরক্ষীয় পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের স্বাভাবিক ঠান্ডা জল গরম হয়ে ওঠে) এসেছে। প্রতি চার-পাঁচ বছর অন্তর এল নিনো আসে। বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব পড়ে। ভারতবর্ষে ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৯৭-৯৮ সালে এল নিনো-র প্রভাবে মাথাপিছু স্থূল আভ্যন্তরীণ উৎপাদ (জিডিপি) যথাক্রমে ৩% এবং ১.৫% কমে গিয়েছিল। ভারতবর্ষের কৃষিকাজের পক্ষে এল নিনো ক্ষতিকর, কারণ এর প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বৃষ্টিপাত ব্যাহত হয়। ২০০৯, ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৮ সালে এল নিনো-র প্রভাবে ভারতে খারিফ শস্যের ফলন কম হয়েছিল।

জলবায়ু সংকট ও সাম্প্রতিক সমীক্ষা

‘রিস্কস্‌ অফ সিনক্রোনাইজড লো ইল্ডস্‌ আর আন্ডারএস্টিমেটেড ইন ক্লাইমেট অ্যান্ড ক্রপ মডেল প্রজেকশনস্‌’ প্রতিবেদনে (৪ জুলাই, ২০২৩) কাই কর্নহিউবার ও তাঁর সহ-গবেষকরা জানাচ্ছেন, এক শক্তিশালী জেট বায়ুপ্রবাহ (সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০-১২ কিলোমিটার উচ্চতায় ট্রপোস্ফিয়ার-এর ঊর্ধ্বসীমা বরাবর সঙ্কীর্ণ আঁকাবাঁকা পথে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত দ্রুতগতিসম্পন্ন অতি শীতল বায়ু) ও ভূউষ্ণায়নের দরুন পরপর বেশ কিছু চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনা, যেমন- তাপপ্রবাহ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা এবং অতিবৃষ্টির কারণে পৃথিবীর বেশ কিছু কৃষি-অঞ্চলে নিকট ভবিষ্যতে খাদ্যশস্য ফলন কমবে বা বিঘ্নিত হবে। ফলত বিশ্বজুড়ে খাদ্য সুরক্ষা ও আমদানি-নির্ভর অঞ্চলে খাদ্যজোগান ব্যাহত হবে। এর জেরে মানবগোষ্ঠীকে দীর্ঘদিনের ভিটেমাটিও ছাড়তে হতে পারে। যেসব অঞ্চলে একাধিক চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনা ঘটেছে, গবেষকরা ১৯৬০-২০১৪ সাল পর্যন্ত তথ্য ঘেঁটে দেখেছেন, সেখানে খাদ্যশস্য ফলনে প্রায় সাত শতাংশ ঘাটতি হয়েছে। প্রতিবেদনটি অনুযায়ী পূর্ব ইওরোপ, পূর্ব এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকা-য় চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনায় খাদ্যশস্য ফলন কমবে। অতি উষ্ণতায় পোকামাকড় ও নানান রোগের বাড়বাড়ন্তে খাদ্যশস্য ও পালিত-পশুরা আক্রান্ত হওয়ায় খাদ্যজোগান কমে।

চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনা, খাদ্য উৎপাদন ও ভারতবর্ষ

পুনে-র ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজি’-র জলবায়ু-বিজ্ঞানী রক্সি ম্যাথিউ কোল জানিয়েছেন, ভারতের সাম্প্রতিক তাপদাহ দেশের খাদ্য সুরক্ষার পক্ষে এক বিপদস্বরূপ। কোল ও তাঁর সহকর্মিরা সমীক্ষায় দেখেছেন, ভারত মহাসাগরে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সৃষ্ট এক তাপপ্রবাহে মৌসুমি বৃষ্টির ধরন পরিবর্তিত হওয়ায় দেশের ধান ও গম উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ কৃষিজীবী মানুষ বিপন্ন। এতে দেশের আর্থিক বিকাশও ধাক্কা খাচ্ছে প্রায় ১৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের তাপপ্রবাহে ভারতের গম উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৩০ লক্ষ টন কম হয়েছিল। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ্‌ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ’ জানিয়েছে, ভারতের গমচাষযোগ্য তিন কোটি হেক্টর জমির মধ্যে ৯০ লক্ষ হেক্টর জমি তাপপ্রবাহজনিত বিপদের মুখোমুখি। বিগত ২০২২ সালের মার্চ মাসে তীব্র তাপদাহে ভারতের পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা-য় গমের ফলন কমেছিল। এর জেরে ঘরোয়া বাজারে গমের দাম প্রায় কুড়ি শতাংশ চড়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি কেন্দ্র সরকারকে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি (১৩ মে, ২০২২) করতে হয়েছিল। আবার গত বছরেই বিলম্বিত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বৃষ্টির দরুন দেশে ৪ শতাংশ ধান রোপণ কম হয়েছিল।

বলা জরুরি, মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ধরন বদলে যাওয়ায় সময়মতো কৃষিখেতে নির্দিষ্ট জল না পাওয়ায় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণে খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়ায় ২০২১ সালে ভারতের ১৯টি রাজ্যের ৫৩১৮ জন চাষি আত্মহত্যা করে। অসম রাজ্যে ২০২০ সালের (১২) চেয়ে চাষির আত্মহত্যার ঘটনা ২০২১ সালে (১৫৩) তেরো গুণ বেড়েছিল। ভারতে গড়ে রোজ ২৯ জন চাষির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্যের পুষ্টিগুণ

জলবায়ু পরিবর্তনে একদিকে যেমন খাদ্যশস্যের ফলন কমবে, অন্যদিকে তেমনই বাতাসের উচ্চ কার্বনডাইঅক্সাইড মাত্রায় উৎপাদিত খাদ্যশস্যের পুষ্টিগুণ (প্রোটিন ও অন্যান্য খনিজ) কমবে। ভারতবর্ষে যেখানে খাদ্যে প্রোটিনের প্রধান উৎস মাংসের বদলে দানাশস্য, সেখানে খাদ্যের পুষ্টিগুণ হ্রাস ‘হিডেন হাঙ্গার’ নামে উপেক্ষিত এক মহামারী বয়ে আনবে। ফলে নানান সংক্রামক রোগ ছড়ানোর বিপদ বাড়বে।

যুদ্ধ ও খাদ্যসংকট

ভারতে ১৯৪৩ সালের খাদ্যসংকটের অন্যতম কারণ ছিল ব্রিটিশদের খাদ্য-সরবরাহ নীতি। যুদ্ধের কারণে সেনা এবং নিজের দেশের জন্য খাদ্য মজুতের নীতির ফলেই কলকাতা জুড়ে দেখা দেয় খাদ্যসংকট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলেও বিশ্বে যুদ্ধ থামেনি। ভিয়েতনাম-এর যুদ্ধ, মরুযুদ্ধ, সাম্প্রতিক রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ সবই খাদ্যসংকটের অন্যতম কারণ। যুদ্ধে বিস্তীর্ণ চাষজমি ধ্বংস হয়, খাদ্যশস্য নষ্ট হয় এবং উৎপাদিত খাদ্যশস্য সঠিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছায় না। সৃষ্টি হয় এক চূড়ান্ত খাদ্যসংকট। যুদ্ধে জল, মাটি দূষিত হয়ে খাদ্যশস্য উৎপাদনেও দেখা দেয় চরম ঘাটতি। ১৯৭৪ সাল থেকে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে জাতিপুঞ্জ নানান বার্তা মানুষের কাছে দিয়েছে। অথচ, যুদ্ধ পরিবেশের পক্ষে এক অভিশাপ হলেও কখনোই যুদ্ধ পরিবেশের সর্বনাশ ডেকে আনছে কথাটি আজও জাতিপুঞ্জ থেকে উচ্চারিত হল না। কারণ, যুদ্ধ করে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী দেশগুলি। প্রকৃতপক্ষে এরাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই গ্রহটিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং জাতিপুঞ্জকেও তাদের মতোন করে কথা বলতে বাধ্য করে।

যুদ্ধের পেছনে রয়েছে পৃথিবীজুড়ে বহুজাতিক সংস্থাগুলির আধিপত্যবাদ, যে আধিপত্যবাদ মনে করে পৃথিবীর বুকে ক্ষুধাকে জিইয়ে রাখতে হবে তাদের নিয়ন্ত্রক শক্তিকে সচল রাখার জন্য। পৃথিবীতে খাদ্যের অভাব না থাকলেও, সেই খাদ্য সরবরাহে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা প্রয়োজন মুনাফার জন্য। ফলত ভারতের মহামান্য শীর্ষ আদালতকেও বলতে হয়, উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য নষ্ট না করে মানুষকে বিলিয়ে দাও।

পরিশেষে

জাতিপুঞ্জ থেকে ২০১৩ সালে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ঘোষিত পরিবেশ বার্তাটি ছিল ‘থিংক-ইট-সেভ’। এই বার্তায় জাতিপুঞ্জ যে সমস্যার কথা বলেছে, তা কোন শৌখিন পরিবেশপ্রেমীর নিসর্গ পরিবেশ-চর্চার বিষয় নয়, অসংখ্য মানুষের প্রতিদিনের মরণ-বাঁচনের এক নিদারুণ প্রতিচ্ছবি। জাতিপুঞ্জের ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’ জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের ৭৯টি দেশের সাড়ে ৩৪ কোটি মানুষ গভীর খাদ্যসংকটে রয়েছে। পৃথিবীতে মরিয়া ক্ষুধার্তরা অনেক জায়গায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। দূষণের বিশ্বায়ন আর ক্ষুধার বিশ্বায়ন আজ প্রায় সমার্থক। পরিবেশ সমস্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং ক্ষুধার বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনও প্রায় সমার্থক আন্দোলন চর্চার বিষয়। সময় এসেছে পরিবেশ আন্দোলনকে নতুন এক পথে সঞ্চালিত করার, যে দারিদ্রের বিরুদ্ধে কথা বলবে, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াবে, আর বিশ্বজোড়া ভোগবাদী ব্যবস্থাকে বলবে, পৃথিবীর সম্পদ মানুষের বাঁচার জন্য যথেষ্ট, কিন্তু তা মানুষের সর্বগ্রাসী লোভের জন্য যথেষ্ট নয়।

লিখেছেন – বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় ও রাহুল রায়

Disclaimer:

  • The views expressed in the articles which are published in this website (www.doverthinker.com) asserts that the opinions expressed in an article or any written material are those of the author and not the opinion of the website (www.doverthinker.com).
  • The www.doverthinker.com assumes no responsibility or liability for any error(s) or omission(s) in the content(s) and/or the article(s). The information contained in www.doverthinker.com is provided on an “as is” basis as provided by the author(s). 
  • All the information published in www.doverthinker.com is in good faith and for general information purpose only.
  • No warranties from our site will be given for the completeness, reliability and accuracy of the information in the published article'(s).

Share this post

Leave a Reply