দুর্গাপূজা ব্যতীত অনেকেই মহাদ্বিতীয়া,মহাতৃতীয়া,মহাচতুর্থী,মহাপঞ্চমী,মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী,মহাদশমী ইত্যাদি বলছেন বা বলে থাকেন তাহা শাস্ত্রবিরুদ্ধ।
শঙ্খে-তৈলে তথা মাংসে,
ভেষজে দৈবজ্ঞে দ্বিজে।
যাত্রায়াং পথি নিদ্রায়াং,
মহচ্ছব্দো ন দীয়তে।।
(শঙ্খ,তেল,মাংস,ভেষজ, দৈবজ্ঞ, দ্বিজ,যাত্রা,পথ,নিদ্রা এই পদগুলির পূর্বে মহাশব্দ দেওয়া যাবে না।)
দেবীপুরাণঃ
১)প্রাবৃট্ কালে বিশেষেণ,
আশ্বিনে হ্যষ্টমীষু চ।
মহাশব্দো নবম্যান্তু,
লোকে খ্যাতিং গমিষ্যতি।।
(বর্ষাকালে আশ্বিনমাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী ও নবমীতে
মহাশব্দে লোকে প্রসিদ্ধি লাভ করিবে,দেবীর পূজায় অষ্টমী ও নবমী তাই মহাষ্টমী ও মহানবমী বলিয়া প্রসিদ্ধ হইবে)
কালিকাপুরাণঃ
২)যস্ত্বেকস্যাং মহাষ্টম্যাং,
নবম্যাং বাথ সাধকঃ।
পূজয়েদ্বরদাং দেবীং,
সর্বকামফলপ্রদাম্।।
(যে সাধক কেবল মহাষ্টমী ও মহানবমীতে সর্বাভীষ্টফলদায়িনী দুর্গাদেবীর পূজা করিবে তাহার অতুল ঐশ্বর্য্যাদি হইবে)
বৃহদ্ধর্মপুরাণঃ
৩)মহাবিপদতারকত্বাদ্,
গীয়তোহসৌ মহাষ্টমী।
মহাসম্পদ্দায়কত্বাৎ,
সা মহানবমী মতা।।
[ মহাবিপদ(যমত্রাস) হইতে ত্রাণকারী বলে মহাষ্টমী বলা হয়।মহাসম্পদ(অপবর্গনাশকারী) প্রদানকারী বলে মহানবমী বলা হয়।]
কালিকাপুরাণঃ
৪)আশ্বিনস্য তু শুক্লস্য,
ভবেদ্ যা অষ্টমী তিথিঃ।
মহাষ্টমীতি সা প্রোক্তা,
দেব্যাঃ প্রীতিকরী পরা।।
ততোহনু নবমী যা স্যাৎ,
সা মহানবমী স্মৃতা।
সা তিথি সর্বলোকানাং,
পূজনীয়া শিবপ্রিয়া।।
(গৌণচান্দ্র আশ্বিনের শুক্লপক্ষের যে অষ্টমী তিথি তাহা মহাষ্টমী, এটি দেবীর প্রীতিকর,এর পরের তিথিটি মহানবমী তিথি, সর্বলোকের দ্বারা এই দিন দেবী পূজিতা হন]
কালিকাপুরাণঃ
৫)পূর্বাষাঢ়াযুতাষ্টম্যাং,
পূজাহোমদ্যুপোষণম্।
উত্তরেণ নবম্যান্তু,
বলিভিঃ পূজয়েচ্ছিবাম্।।
[আশ্বিনের শুক্লপক্ষের পূর্বাষাঢ়াযুত অষ্টমীতে পূজা,হোম এবং উপবাস করিবে।উত্তরাষাঢ়াযুক্ত নবমীতে মহাপূজার বিধান,বলিদান হোম আবশ্যক]
দুই তিথির পূর্বে মহাপদ যুক্ত হয়েছে, দুই তিথি ব্যতীত অন্যান্য দুর্গোৎসবের তিথি গুলিতে মহাশব্দ যুক্ত হবে না,তাই মহাপঞ্চমী,মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী এসব তিথিগুলিকে মহা বলা যাবে না।
মহাষ্টমী ও মহানবমী দুই তিথিতেই যেরূপ ইচ্ছা হোম করিবে
*তথ্য পুস্তক হইতে সংগৃহীত
ও গুরুমুখী বিদ্যা
লিখেছেন – পুরোহিত কমল মিশ্র ( +৯১ ৭৪৪৯৫৭০৩৭১)
*তথ্য পুস্তক হইতে সংগৃহীত ও গুরুমুখী বিদ্যা।
*ছবি – গুগল হইতে সংগৃহীত
ATI mulyoban tathya. ..sanriddho holam